জুমার নামাজ কয় রাকাত এবং নিয়ত [year]

জুমার নামাজ মুসলিমদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদ। জুমার নামাজ আদায় করতে হলে আমাদের জুমার নামাজ কয় রাকাত এবং নিয়ত সম্পর্কে জানতে হয়। প্রত্যেকটি নামাজের আলাদা নিয়ত রয়েছে, নিয়ম রয়েছে। জুমার নামাজ আদায় করা প্রত্যেকটি মুসলিমের জন্য ফরজ। শুক্রবার গোসল করে যোহরের ৪ রাকাত ফরয নামাজের পরিবর্তে জুম’আর ২ রাকাত ফরয নামাজ জামাতের সহিত আদায় করতে হয়। আজকের এই পোস্টে আমি জুমার নামাজ কত রাকাত এবং জুমার নামাজের নিয়ত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আরবিতে ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে কাতারবন্দী হওয়া বা এক জায়গায় জড়ো হওয়া। শুক্রবার যোহরের চার রাকাত ফরয নামাজের পরিবর্তে জামাতের সহিত যে দুই রাকাত ফরয নামাজ আদায় করা হয়, সেটিই জুমার নামাজ। জুমার নামাজকে গরিবের হজ্জ বা সাপ্তাহিক হজ্জ বলা হয়ে থাকে। প্রতিটি মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ।তো চলুন, জুমার নামাজ কত রাকাত জেনে নেয়া যাক।

জুমার নামাজ কয় রাকাত

জুমার নামাজ কয় রাকাত এবং নিয়ত
জুমার নামাজ কয় রাকাত এবং নিয়ত

অনেকেই জানে না যে, জুমার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি। জুমার নামাজ হচ্ছে দুই রাকাত। জুমার এই দুই রাকাত নামায আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ। শুক্রবার দুপুরে গোসল করে পরিষ্কার হয়ে, পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করে, আজান দেয়ার সাথে সাথে মসজিদে উপস্থিত হয়ে খুতবা শুনা এবং জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা উত্তম। জুমার নামাজ আদায় করার জন্য প্রথমে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করবে সে সবথেকে বেশি সাওয়াব পাবে। এরপর যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে সে প্রথম ব্যক্তির থেকে কম সাওয়াব পাবে। এভাবে করে সাওয়াব বন্টন হবে। তাই, জুমার নামাজের জন্য আজান দেয়ার সাথে সাথেই জুমার নামাজ আদায় করার জন্য রওনা দিতে হবে।

জুমার নামাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে বাসায়  ক্বাবলাল জুমার ৪ রাকাত নামাজ আদায় করা কিংবা মসজিদে গিয়ে ৪ রাকাত  ক্বাবলাল জুমার নামাজ আদায় করা সুন্নাত। এরপর খুতবা শুনে ২ রাকাত জুমার নামাজ আদায় করে নিতে হয়। জুমার ২ রাকাত ফরয নামাজ আদায় করার পর বা’দাল জুমার ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করতে হয়। জুমার নামাজ পড়তে হলে আমাদের জামাতের সাথে পড়তে হবে। একাকী জুমার নামাজ আদায় হবে না। তাছাড়া, জুমার নামাজ পড়লে ক্বাবলাল জুমার ৪ রাকাত  এবং বা’দাল জুমার ৪ রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। 

এছাড়া, আপনি চাইলে তাহিয়্যাতুল ওজুর ২ রাকাত সুন্নত নামাজ, দুখলুল মসজিদ ২ রাকাত সুন্নত নামাজ এবং নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। এ নামাজগুলো জুমার নামাজের সাথে সংযুক্ত নয়। তাহলে জুমার নামাজ কয় রাকাত? জুমার নামাজ ২ রাকাত।  ক্বাবলাল জুমা এবং বা’দাল জুমা সুন্নাত নামাজ সহ জুমার নামাজ হচ্ছে ১০ রাকাত। এর সাথে আপনি যদি তাহিয়্যাতুল ওজু ২ রাকাত সুন্নত, দুখলুল মসজিদ ২ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করেন, তবে ১৪ রাকাত নামাজ। 

আরো পড়ুনঃ স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙে যাবে?

জুমার নামাজের নিয়ত

অন্যান্য নামাজের মতো জুমার নামাজের নিয়ত রয়েছে। জুমার নামাজের আরবি নিয়ত এবং জুমার নামাজের বাংলা নিয়ত রয়েছে। নিয়ত অর্থ হচ্ছে সংকল্প করা। আপনি যেকোনো ভাবে নিয়ত করতে পারেন। জুমার নামাজ যদি আরবি নিয়ত করে আদায় করতে চান, তবে নিচে দেয়া জুমার নামাজ নিয়ত আরবি কিংবা জুমার নামাজের নিয়ত বাংলা দেখে নিতে পারেন। নিচে আমি মোট ১০ রাকাত নামাজের নিয়ম উল্লেখ করে দিয়েছি।

চার রাকাত কাবলাল জুমা নামাজের নিয়ত

কাবলাল জুমা নামাজের আরবি নিয়ত: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল ক্বাবলাল জুমুআতি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তাআলা,মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতি শারীফাতি আল্লাহু আকবর।

কাবলাল জুমা নামাজের বাংলায় নিয়ত: আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিবলামুখি হয়ে চার রাকাত কাবলাল জুমার সুন্নাত নামাজ আদায় করার নিয়ত করলাম,আল্লাহু আকবর।

দুই রাকাত জুমার নামাজের নিয়ত

জুমার নামাজের আরবি নিয়ত: নাওয়াইতু আন উসাক্বিতা আ’ন যিম্মাতি ফারদুজ্জুহরী বিআদায়ি রাকআতাই ছালাতিল জুমুআতি ফারদুল্লাহি তাআলা ইক্বতাদাইতু বিহাযাল ইমামি মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্‌ শারিফাতি আল্লাহু আকবর। 

জুমার নামাজের বাংলায় নিয়ত: আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিবলামুখি হয়ে জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ এই ইমামের পিছনে পড়িবার নিয়ত করিলাম,আল্লাহু আকবর।

চার রাকাত বাদাল জুমার নিয়ত

বাদাল জুমার আরবি নিয়ত : নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি বাদাল জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্‌ ক্বাবাতিশ্‌ শারীফাতি আল্লাহু আক্‌বার।

বাদাল জুমার বাংলা নিয়ত : আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিবলামুখি হয়ে চার রাকাত বাদাল জুম্মা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ আদায় করিবার নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।

আরো পড়ুনঃ এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

মেয়েদের জুমার নামাজের নিয়ম

মেয়েদের উপর জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব নয়। তারা যদি চায়, তবে জুমার নামাজ আদায় করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে, তারা যদি জুমার নামাজ আদায় না করে, তবে যোহরের আজান দেয়ার সাথে সাথেই যোহরের নামাজ আদায় করতে হবে। যোহরের নামাজের ওয়াক্ত হলে আর দেরি না করে নামাজ আদায় করে নিতে হবে। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় যোহরের নামাজ পড়তে বিলম্ব করা যাবে না। যদি জুমার নামাজে অংশগ্রহন করেন, তবে যোহরের নামাজ আলাদা করে আদায় করতে হবে না। যোহরের নামাজ আদায় করা হয়ে যাবে জুমার নামাজ আদায় করলে। 

জুমার নামাজের ফজিলত

সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিন, অর্থাৎ শুক্রবার প্রত্যেকটি মুমিন-মুসলমানের জন্য মসজিদে একত্রিত হয়ে জামাতের সহিত ২ রাকাত জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার নামাজকে সাপ্তাহিক হজ্জ বলা হয়ে থাকে। জুমার নামাজের কিছু সুন্নত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, হাত-পায়ের নখ কাটা, ভালো এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে মসজিদে রওনা দেয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা। আমাদের মুখের গন্ধ কিংবা শরীরের গন্ধে যেন অন্য মুসলিম ভাইয়ের কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা। 

না-বালেগ এর উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা যেমন ফরজ নয়, ঠিক তেমনি জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ নয়। কিন্তু, বালেগের উপর জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। প্রত্যেক পুরুষের উপর জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। ক্রীতদাস এবং খরীদা-গোলাম এর উপর জুমার নামাজ ফরজ নয়। কিন্তু, বাকি সবার ক্ষেত্রে জুমার নামাজ ফরজ। কিছু ক্ষেত্রে, জুমার নামাজে জামাতে সহিত না হওয়ার অনুমতি রয়েছে। এসব অনুমতি ব্যতিত জুমার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের পুরুষের জন্য ফরজ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুমার দিন ফেরেশতারা মসজিদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে শেষ অব্দি যারা মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসে, সবার নাম তালিকাভুক্ত করে। যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম মসজিদে আসে , সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করার সমান সাওয়াব পায়। তারপর যে ব্যক্তি আসে, সে তার নিজের ন্যায় উচ্চতার একটি গাভী সদকা করার সাওয়াব পায়। তারপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো সাওয়াব পায়। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো সাওয়াব পায়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে শুরু করেন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ  দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি : ৮৮২)

অতএব, ইমাম সাহেব খুতবা দেয়া শুরু করার আগেই আমাদের মসজিদে যেতে হবে। যত আগে যাবো, তত বেশি সাওয়াব অর্জন করতে পারবো।

আরো পড়ুনঃ বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়

জুমার দিনের বিশেষ আমল

জুমার দিনের কিছু বিশেষ আমল রয়েছে। এগুলো করার মাধ্যমে আমরা বেশি সাওয়াব অর্জন করতে পারি। তো চলুন, সবগুলো আমল একটি তালিকা থেকে দেখে নেয়া যাক। পরবর্তী জুমা থেকে এসব আমল করার চেষ্টা করবেন ইনশা আল্লাহ।

  • জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করা। নখ এবং চুল কাটা।
  • জুমার নামাজে যাওয়ার আগে সুগন্ধি ব্যবহার করা। 
  • জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করার সময় মিসওয়াক করা। 
  • গায়ে তেল ব্যবহার করা। 
  • উত্তম পোশাক পরিধান করে জুমার নামাজ আদায় করা। 
  • ইমামের দিকে মুখ করে বসে বয়ান এবং খুতবা শুনা। 
  • পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। পায়ে হেটে গেলে অধিক সাওয়াব।
  • বাসা থেকে অজু করে মসজিদ হেটে গেলে বেশি সাওয়াব। 
  • জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। 
  • বেশি বেশি দোয়া করা। 
  • মুসল্লিদের ফাঁক করে সামনের কাতারে না যাওয়া। 
  • সুযোগ থাকলে দু’রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ নফল আদায় করা। 
  • জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।

জুমার দিনের বিশেষ আমলগুলো করার চেষ্টা করবেন প্রতি জুমায়। তাহলে, বেশি পরিমাণে সাওয়াব অর্জন করতে পারবেন। এছাড়াও, জুমার দিনে করার মতো কিছু আমল রয়েছে। এগুলো নিম্নরুপ।

যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজ আদায় করার পর ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা’ দরুদটি ৮০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা উক্ত ব্যক্তির  ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং ৮০ বছর ইবাদত করার সওয়াব তার আমলনামায় লিখে দেবেন। (হাফেজ সাখাবি আল-কওলুল বাদি : ২৮৪)।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিন বেশি পরিমাণে দরুদ শরিফ পড়তে বলেছেন। জুমার দিন আদম (আ.) কে সৃষ্টি করেছিলেন আল্লাহ। জুমার দিনেই হযরত আদম (আ.) এর মৃত্যু হয়েছে। জুমার দিনই (সিঙ্গায়) ফুৎকার হবে। জুমার দিন একটি উত্তম দিন। তাই অধিক পরিমাণে দরুদ শরিফ পড়তে হবে। (আবু দাউদ : ১০৮৯)

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয়

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, যখন জুমার দিন একজন ব্যক্তি গোসল করে এবং তার সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে।, এরপর ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়, আর দুজনের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি না করে, এরপর সে তার জন্য ধার্যকৃত নামাজ আদায় করে এবং ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে ও মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনে, তার এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত (সগিরা গোনাহ) মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি : ৮৮৩)

হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, জুমার দিন আসরের শেষে এমন একটি সময় আছে বান্দা ওই সময় যা-ই দোয়া করে আল্লাহ তা কবুল করে নেন। জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করার অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত বিশেষ নুর (আলো) দ্বারা আলোকিত করে দেবেন। (বায়হাকি : ৬২০৯)

জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম

জুমার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে মসজিদে গিয়ে ৪ রাকাত কাবলাল জুমার নামাজ আদায় করে ইমামের বয়ান ও খুতবা শুনতে হয়। এরপর ২ রাকাত জুমার ফরজ নামাজ আদায় করার পর বাদাল জুমার ৪ রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। এছাড়াও, তাহিয়্যাতুল ওজুর ২ রাকাত সুন্নত নামাজ, দুখলুল মসজিদ ২ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে পারেন। এটাই হচ্ছে জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই পোস্টে আমি জুমার নামাজ কয় রাকাত , জুমার নামাজের নিয়ত, মেয়েদের জুমার নামাজের নিয়ম, জুমার নামাজের ফজিলত, জুমার দিনের বিশেষ আমল এবং জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি জুমার নামাজ কয় রাকাত এবং জুমার নামাজের নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জুমার নামাজ সঠিকভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন। বেশি বেশি করে আমল করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ হাফেয। 

Leave a Comment