
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি- যাকাত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো পরিপূর্ণতা, পবিত্রতা, বৃদ্ধি পাওয়া, বরকত হওয়া ইত্যাদি। ইসলামে যাকাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কোরআন শরিফে অসংখ্য জায়গায় যাকাতের কথা এসেছে। যাকাত গবিবের প্রতি দান বা অনুগ্রহ নয় বরং যাকাত গরীব মানুষের হক। যাকাত প্রদানের মাধ্যমে শুধু ব্যক্তির নয়, সমাজ ও রাস্ট্রের বিবিধ উপকার সাধিত হয়। যাকাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা আজকের পোস্টে আলোচনা করব যাকাত ফরজ হওয়ার কয়টি শর্ত তা নিয়ে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক যাকাত ফরজ হওয়ার শর্তগুলো-
আলোচ্য সূচি:
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি
মুসলমান হওয়া
যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য প্রধান শর্তই হলো মুসলমান হওয়া কারণ অমুসলিমদের উপর যাকাত ফরজ নয়। শরিয়তের নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য যাকাত আদায় করা ফরজ।
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া
যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে। অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ন বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা অথবা এর সমপরিমাণ অর্থকে নিসাব পরিমাণ সম্পদ বলে।
Also Read
- তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজের নিয়ত কি জেনে নিন বিস্তারিত
- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আরবি লেখা
- মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া
বালেগ হওয়া
নাবালক এর উপর যাকাত ফরজ নয়। যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য বালেগ বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়।
আরো পড়ুনঃ যাকাত কাদের উপর ফরজ
জ্ঞানী ও বিবেক সম্পন্ন হওয়া
যে সর্বদা পাগল থাকে সে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও তার উপর যাকাত ফরজ নয়। যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য জ্ঞানী ও বিবেক সম্পন্ন হতে হবে।
স্বাধীন বা মুক্ত হওয়া
দাস-দাসীর উপর যাকাত ফরজ নয়। মুক্ত বা স্বাধীন মানুষের উপর যাকাত ফরজ।
মালের উপর পূর্ণ মালিকানা থাকা
অসম্পূর্ণ মালিকানার উপর যাকাত ফরজ হয় না। যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত হলো মালের উপর পূর্ণ মালিকানা থাকতে হবে।
নেসাব পরিমাণ মাল নিত্য প্রয়োজনীয় সম্পদ বাদ দেওয়ার পর অতিরিক্ত হওয়া।
নেসাব পরিমাণ মালের উপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া।
মাল বর্ধনশীল হওয়া।
যাকাত প্রদানের উদ্দেশ্য হলো সমাজে আর্থিক সমতা বিধান করা। যাকাত প্রদানের ফলে কেউ যদি গরীব হয়ে যায় তাহলে যাকাত প্রদানের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। তাই যাকাত প্রদানের মাল বর্ধনশীল হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ যাকাত কাকে বলে?
যাকাতের ফজিলত
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যা কিছু (আল্লাহর রাস্তায়) ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দান করবেন। আর তিনিই উত্তম রিজিকদাতা। (সুরা সাবা,আয়াত:৩৯)
হজরত আনাস ইবনে মালেক রা. বলেন নবী কারিম (সা.) বলেছেন, দান আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে এবং অপমৃত্যু রোধ করে।
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি নিয়ে শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের পোস্টে যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি সেই বিষয়ে একটি বিস্তারিত তথ্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি আপনারা বিষয় টি ভালো ভাবে জানতে পেরেছেন। এছাড়া যাকাত নিয়ে যদি আরও কোন কিছু জানার আগ্রহ থাকে তাহলে কমেন্ট সেকশনে উল্লেখ করতে পারেন। এছাড়া পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আল্লাহ হাফেজ।।